মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষার পদ্ধতি (Virgin Breast Recognition Strategies)

আসসালামু আলাইকুম 





পোস্ট টি পড়ে যা যা জানতে পারবেন-

-ভার্জিন কি,

- কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য যে সকল পদ্ধতি প্রচলন আছে,

- দুই আঙ্গুল পরীক্ষার মাধ্যমে যেভাবে কুমারিত্ব পরীক্ষা করা যায়,

- সতিচ্ছেদ পর্দার মাধ্যমে যেভাবে কুমারিত্ব পরীক্ষা করা যায়,

- প্রথম সহবাসের রক্তপাতের মাধ্যমে যেভাবে কুমারিত্ব পরীক্ষা করা যায়,


ভার্জিন কি

 ভার্জিন শব্দটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। সাধারণত এই শব্দটি আমরা জনসমাজে প্রকাশ করতে চাই না। এই শব্দটি আমাদের মুখে উচ্চারণ করতে একটি সংকোচ বোধ হয়। মূলত এই শব্দটির অর্থ নিখুঁত বোঝায়। কিন্তু আমাদের দেশে ভার্জিন শব্দটি দিয়ে একটি ছেলে বা মেয়ের কুমারিত্ব ঠিক আছে কিনা এ বিষয়টি বোঝায়। (Domestic ways to get the virgin back)


বর্তমানে মেয়েদের হাইমেন বা সতিচ্ছেদ পর্দা নিয়ে অনলাইন জগতে আলোচনার একটি অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। যেখানে অনেক প্রচলিত মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে বলা হচ্ছে ৯৯% মেয়েদের সতিচ্ছেদ পর্দা ছিড়ে যায় প্রথমবার সহবাসের মাধ্যমে। বলা হচ্ছে প্রথম সহবাসের সময় যদি দেখেন যে রক্তপাত হয় নি তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে নারীটি পূর্বে সহবাস করেছে। 

আজকের এই পোস্টটিতে মেয়েদের ভার্জিনিটি পরীক্ষা করা নিয়ে প্রচলিত পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব এবং রেফারেন্স সহ বুঝিয়ে বলব এবং পরীক্ষাগুলো কত টুকু নির্ভরযোগ্য তা জানাবো আসুন আমরা জেনে নিই-  

একটা মেয়ে ভার্জিন কি না তা জানতে চিকিৎসা বিজ্ঞান অথবা সামাজিক ভাবে তিনটি পদ্ধতি  প্রচলিত ছিল এবং এখনও কিছু জায়গাতে প্রচলিত আছে।


আসুন সেই পরীক্ষা তিনটি সম্পর্কে আমরা জেনে নিই-

- দুই আঙ্গুলের পরীক্ষা,

- সতীচ্ছেদ পর্দা পরীক্ষা,

- প্রথম সহবাসে রক্তপাত।

  

দুই আঙ্গুলের পরীক্ষা

১. দুই আঙুলের পরীক্ষা বলতে আমরা বুঝি একটি মেয়ের যোনি পথ কত চাপা বা প্রসস্থ। যদি কারো যোনি পথে সইজেই দুই কিংবা এক আঙ্গুল ঢুকে যায় তাহলে আমরা মনে করি যে মেয়েটির পূর্বে সহবাস করেছে। আর যদি ঢুকাতে কষ্ট হয় বা না ঢোকে সেক্ষেত্রে  মনে করি যে মেয়েটি ভার্জিন। একটি নারী নিয়মিত সহবাস করেছে কি না সেটি পরীক্ষা করতে ডাক্তাররা এ পদ্ধতি অবলম্বন করতেন এবং এখনো কোথাও কোথাও করা হয়ে থাকে। এই পরীক্ষাটি কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়াই চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্থান পায়। উপমহাদেশের অনেক গুলো  মেডিকেল টেক্সট বইয়ে এই পরীক্ষার  কথা লেখা আছে। সেসব বই পড়ে ডাক্তাররা ও অনেক পরীক্ষা করতেন। এই মন গড়া অবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা বন্ধ করতে বিভিন্ন দেশে এই পরীক্ষাটিকে বন্ধ করা হয়। ভারতে এই পরীক্ষাটি বন্ধ করা হয়েছে ২০১৩ সালে।


সতীচ্ছেদ পর্দা পরীক্ষা

২. সতিচ্ছেদ পর্দা পরীক্ষা বলতে আমরা বুঝি হাইমেন ইন্সপেকশন। এই পরীক্ষাটি চোখ দিয়ে করা হয়, আঙ্গুলের মাধ্যমে করা হয় না।

 মেয়েদের যোনিপথের হাইমেন, অনেকে এটাকে সতীচ্ছেদ পর্দা হিসেবে চেনে। এটা পরীক্ষা করা হয় যে হাইমেনের  কোন  ছেড়া  আছে কিনা তাহলে কোথায় ছেড়া  হাইমেনের আকার কেমন, মুখ ছোট নাকি বড়, কতটা বড় ইত্যাদি। 

আমেরিকায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৩৬ জন  গর্ভবতী মহিলার হাইমেন টেস্ট করে মাত্র ২ জনের হাইমেন দেখে বোঝা গেছে যে তারা পূর্বে সহবাস করেছে। কিন্তু  বাকি ৩৪জন কিন্তু গর্ভবতী।

এজন্য হাইমেন দেখে বলা যাবে না যে  মেয়েটি ভার্জিন কি না। হাইমেনে পর্দা এত টা ও শক্ত না। এটা রাবারের মত যেটি সংকোচন ও প্রসারণ হতে পারে। এতটাও প্রসারিত হয় যে একটি বাচ্চা বের হতে পারে। এই  যোনিপথ ঘিরে   থাকে  যে হাইমেন, সেটি বড় ও ছোট হয়। 

এই পর্দাটা  বিভিন্ন রকম হতে পারে একেক জনের একেক  দিকে খাঁজ থাকে ভাজ থাকে। মেয়েদের জন্মের আগেই হাইমেনে ছিদ্র থাকে। যার মাধ্যমে মাসিকের সময় দূষিত তরল পদার্থ বের হয়।

হাইমেনে এক ধরনের ছিদ্র থাকে যা বড় ছোট হতে পারে। ছিদ্র টা কত বড় হবে সেটা বয়স, ওজন, উচ্চতা সহ আরো অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে।

আবার সহবাস ছাড়াও অনেক কারণে হাইমেনের চাপ পরতে পারে বা ১ অংশ ছিড়ে যেতে পারে যেমন-

- খেলাধুলা,

- আঘাত পাওয়ার পর,

- মাসিকের সময় টেলকম ব্যবহার করা ইত্যাদি।

এইসব হাইমেন  দেখে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব না একজন নারী পূর্বে সহবাস করেছিলেন কিনা। কারও কারও জন্মের সময় হাইমেনে ছিদ্র না ও থাকতে পারে। মেডিকেলের ভাষায় এটাকে ইম্বার ফর হাইমেন বলা হয়। এটা হাজারে একজন বা  তার চেয়েও কম হয়। তখন ছোট একটা সার্জারির মাধ্যমে হাইমেনে ছিদ্র করা হয়।


প্রথম সহবাসে রক্তপাত

৩. আঞ্চলিক ভাবে একটি প্রথা চালু আছে বাসর রাতে সদ্য বিবাহিত বউয়ের সাথে প্রথমবার সহবাসের সময় রক্তপাত হবে। অনেকেই  এটা পরীক্ষা করার জন্য সাদা চাদর বিছিয়ে দেন যে  মেয়েটি কুমারী কিনা।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে ১০০জন নারীর মধ্যে ৪৪ জনের রক্তপাত হয়নি। এটি কিন্তু প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি নারী প্রথম সহবাসে রক্তপাত হয় নি।এমনকি কোনো ব্যথা ও হয়নি ৩২ জনের। এমন আর ও গবেষণায় আছে যে, সেখানে  দেখা গেছে প্রথম সহবাসের সময় রক্তপাত হয় না। রক্তপাত হওয়া বা না হওয়া দুটাই স্বাভাবিক। কারো কারো ক্ষেত্রে যোনিপথ পিচ্ছিল না হওয়ার কারণে জোর করে পুরুষাঙ্গ ঢুকানোর কারণে যোনিপথের দেয়াল ছিড়ে যায়  এবং রক্তপাত হয়। (What is a virgin girl)


তাহলে আপনারা বুঝতে পেরেছেন এই তিন উপায়ের কোনোটা দিয়ে কুমারিত্ব বোঝা যায় না। 

 এখন আপনারা বলবেন যে নির্ভরযোগ্য কোন বৈজ্ঞানিক উপায় আছে মেয়েদের কুমারিত্ব পরীক্ষায়?. উত্তর বলবো যে না নেই।

তারপর ও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু মেডিকেলের বইতে এখনো এসব পদ্ধতির  কথা লেখা হয়।মেডিক্যালের ছাত্রদেরকে শেখানো হয় এতে নারীদের রেপ কেস পরীক্ষার অংশ হিসেবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা  WHO, Human rights, Human womens এই সংস্থা গুলোর বিশেষজ্ঞ  হিউম্যান প্যানেল বলছেন, ডক্টর রেড্রির লেখা ফরেনসিক মেডিসিনের বই সহ আর ও কিছু বই ভার্জনীটি টেস্ট নিয়ে অনির্ভরযোগ্য তথ্য  অবৈজ্ঞানিক উপায় শেখান। তারা জানিয়েছেন যে এসকল বইতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য গুলো তুলে ধরা হয়। (Ways to be a virgin)

Post a Comment

Do not share any link

Previous Post Next Post